bn বাংলা
বাংলা বাংলা
English English
عربي عربي


+8801575-547999
সকাল ৯টা হতে রাত ১০টা
Community Welfare Initiative

শিয়া রাফেযীদের নিকট তাকিয়্যাহ

তাকিয়্যাহ (التقية) অর্থ মিথ্যাচার, প্রতারণা ও কপটতা। রাফেযীদের (শিয়া) ধর্মে এটি এক বিশেষ উচ্চ স্থান দখল করে আছে এবং তাদের মূল গ্রন্থসমূহে এ সম্পর্কে বহু বর্ণনা এসেছে।

তাদের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, যেমন কুলাইনি ও অন্যান্য শিয়া লেখকরা তাদের মিথ্যা বর্ণনায় জাফর আস-সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) থেকে এ কথা নিয়ে এসেছেন যে, “তাকিয়্যাহ আমার ধর্ম ও আমার পিতৃপুরুষদের ধর্ম থেকে, আর যার মধ্যে তাকিয়্যাহ নেই তার কোনো ঈমানই নেই।”

এছাড়াও তাদের বর্ণনা অনুযায়ী আবু আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত, “ধর্মের নয়-দশমাংশ তাকিয়্যাহ, আর যার মধ্যে তাকিয়্যাহ নেই তার কোনো ধর্ম নেই, এটা সব কিছুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, শুধু নবীযের পানীয় ও মোজার উপর মাসাহ করা ছাড়া।”

বস্তুত শিয়ারা তাকিয়্যাহ নীতিতে বিশ্বাস করে এবং তা সব অবস্থায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। তারা এটিকে বলে, “বাহিরে কুফর প্রকাশ ও অন্তরে ঈমান গোপন রাখা।” অর্থাৎ, একজন শিয়া তার আকিদার অংশ হিসেবে তাকিয়্যাহ করে – এমনকি অন্য মুসলিমদের সঙ্গেও – এবং তারা বিশ্বাস করে যে তারা যেকোনো সময় তাকিয়্যাহ ব্যবহার করে সুন্নিদের সাথে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের মুখোশ পরতে পারে, অথচ অন্তরে সুন্নি মাযহাবের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে।

তারা এমনকি এটাও দাবি করে যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেও তাকিয়্যাহ করেছেন, যেমন তারা বর্ণনা করে যে, যখন মুনাফিকদের নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই মারা গেল, তখন নবী (ﷺ) তার জানাজায় যান। তখন উমর বললেন, “আল্লাহ কি আপনাকে তা করতে নিষেধ করেননি?”
রাসূল (ﷺ) জবাব দেন,
“তোমার কী জানা, আমি কী বলেছি? আমি বলেছি: হে আল্লাহ! তার পেট আগুনে পূর্ণ করে দাও, তার কবর আগুনে ভরে দাও, এবং তাকে আগুনে ঢুকিয়ে দাও।”
(ফরু’ আল-কাফি, কিতাবুল জানায়িয, পৃষ্ঠা ১৮৮)

(আস্তাগফিরুল্লাহ, রাসূলের নামে কতবড় জঘন্য মিথ্যাচার)
আস্তাগফিরুল্লাহ তারা এখান থেকে প্রমাণ করতে চায় যে রাসূল (ﷺ)ও নাকি তাকিয়্যাহ করেছেন, অথচ এটা এক ভয়ংকর মিথ্যা অপবাদ। কীভাবে সম্ভব যে সাহাবীরা তার জন্য দোয়া করছে আর রাসূল (ﷺ) তাকে অভিশাপ দিচ্ছেন?!

আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো: তারা (শিয়ারা) তাকিয়্যাহর নামে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর নামে কসম করাকেও বৈধ বলে মনে করে! যেমন, হুর আল-আমিলি তার কিতাব ʼওসাইলুশ শীআহ কিতাবে লিখেছেন:

ইবনে বাকির, যুরারাহ হতে, তিনি বলেন, “আমি জিজ্ঞাসা করলাম: আমরা তো শত্রুদের মাঝে দিয়ে যাই, তারা আমাদের সম্পদের ব্যাপারে কসম করায়, অথচ আমরা যাকাত দিয়ে দিয়েছি। তখন তিনি বললেন, ‘যদি তুমি ভয় পাও, তাহলে যা তারা চায় তাই দ্বারা কসম করো।’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তালাক বা দাস মুক্তির নামে?’ তিনি বললেন, ‘যা তারা চায়।’”

উক্ত কিতাবে আরও এসেছে:
সামা’আহ থেকে আবু আব্দুল্লাহ বলেন, “যদি কেউ তাকিয়্যাহর কারণে কসম করে, তাহলে সেটা তার ক্ষতি করবে না, যদি সে বাধ্য হয়ে থাকে বা নির্যাতনের মুখে পড়ে।”
(ওসাইলুশ শিয়া, পৃষ্ঠা ১৩৭–১৩৯)

সারসংক্ষেপ:
রাফেযীদের মতে তাকিয়্যাহ একটি ফরয বিধান, তাদের মতামত তাকিয়্যাহ নীতি অবলম্বন করা ছাড়া দাঁড়াতেই পারে না। তারা নিজেদের তাকিয়্যাহর শিক্ষা গোপনে এবং প্রকাশ্যে নেয় এবং প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

Share on