
আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.)
আল্লামা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী (রহ.) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক, ইতিহাসবিদ, দাঈ ও সমাজ সংস্কারক। ৫ ডিসেম্বর ১৯১৩ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি জেলার নদওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেওবন্দ আন্দোলনের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং উনবিংশ শতাব্দীর ইসলামি পুনরুজ্জীবনবাদী সৈয়দ আহমদ বেরলভির বংশধর ছিলেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
নদওয়া ইনস্টিটিউট থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর, তিনি মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি নদওয়া ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে সেখানকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার শিক্ষা ও দাওয়াতি কার্যক্রম ভারতসহ আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
সাহিত্যকর্ম ও গ্রন্থসমূহ
আল্লামা নদভীর রচনা সংখ্যা ৫০০-এরও বেশি। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে “মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?”, “সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস”, “নবিয়ে রহমত” এবং “কারওয়ানে যিন্দেগী” (৭ খণ্ডে আত্মজীবনী) উল্লেখযোগ্য। তিনি আরবি, উর্দু, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লিখেছেন এবং তার রচনা বিশ্বব্যাপী মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে পাঠিত হয়।
চিন্তাধারা ও দাওয়াতি কার্যক্রম
আল্লামা নদভী (রহ.) ইসলামি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি আরব জাতীয়তাবাদ ও সর্ব-আরববাদকে একটি নতুন জাহেলিয়া হিসেবে আক্রমণ করেছিলেন এবং সর্ব-ইসলামবাদ প্রচার করেছিলেন। তার দাওয়াতি কার্যক্রম মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল।
মৃত্যু: ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে আল্লামা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে ইসলামি জগত একটি মহান ব্যক্তিত্বকে হারায়। তবে তার রচনা ও চিন্তাধারা আজও মুসলিম সমাজে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
আল্লামা নদভীর জীবন ও কর্ম মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহামূল্যবান দৃষ্টান্ত। মুসলিম সমাজে তার চিন্তাভাবনা ও দাওয়াতের আলো আজও জ্বলছে।
আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) এর প্রবন্ধসমূহ
বিদায় হজ
বিদায় হজ ও এর সময় নির্বাচন: আল্লাহর ইচ্ছা পূর্ণ হলো। উম্মাহর আত্মাসমূহ মূর্তিপূজার আবর্জনা ও জাহেলিয়াতের অভ্যাস থেকে পাক-পবিত্র হলো এবং আলোকিত হলো ঈমানী রৌশনিতে। তাদের দিলে প্রেম ও ভালোবাসার স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হলো। আল্লাহর ঘর পবিত্র কা‘বা মূর্তি থেকে ও…