জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের
জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ইসলামি লেখক, গবেষক এবং বক্তা। তিনি তার গবেষণাধর্মী এবং সহজ-সাবলীল ভাষায় লেখা ইসলামি গ্রন্থগুলোর জন্য পরিচিত। তাঁর রচনায় ইসলামের মৌলিক শিক্ষাগুলোকে সবার কাছে সহজে বোধগম্য করার চেষ্টা লক্ষ্যণীয়।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
জাকের উল্লাহ আবুল খায়েরের শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে পাওয়া যায় না, তবে তার লেখনী থেকে বোঝা যায় যে তিনি ইসলামের মৌলিক জ্ঞান ও গবেষণায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন। তিনি আরবি, উর্দু এবং বাংলা ভাষায় পারদর্শী, যা তার গবেষণা এবং লেখালেখিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
লেখালেখি ও রচনাবলীঃ জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের বহু ইসলামি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা ইসলামি দর্শন, কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা, ইসলামের ইতিহাস এবং আধুনিক যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করে।
শিক্ষা ও দাওয়াহ কার্যক্রম
তিনি কেবল লেখকই নন, বরং একজন দক্ষ বক্তা এবং দাঈ (ইসলামের প্রচারক)। তার বক্তব্যে ইসলামের আদর্শ এবং সমসাময়িক সমস্যার সমাধান সম্পর্কিত বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকে। তিনি মানুষকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে যুগোপযোগী এবং সহজবোধ্য পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য
তার লেখায় গবেষণালব্ধ তথ্য এবং ইসলামি গ্রন্থের রেফারেন্সের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
– সহজ, সুন্দর এবং বোধগম্য ভাষায় তিনি ইসলামি জ্ঞান উপস্থাপন করেন।
– তার বইগুলো ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরতে এবং বিভিন্ন ভুল ধারণা দূর করতে সহায়ক।
প্রভাব ও জনপ্রিয়তা
তার বইগুলো ইসলামি জ্ঞানচর্চার জন্য বাংলাভাষী পাঠকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জাকের উল্লাহ আবুল খায়েরের কাজ ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণীকে উপলব্ধি করার জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের তার লেখনী ও গবেষণার মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তার কাজ বাংলা ভাষায় ইসলামি সাহিত্য সমৃদ্ধ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
গ্রন্থাবলি (১)
পর্দা কেন?
প্রবন্ধসমূহ (১)
ঈমানের প্রকৃত স্বাদ
ঈমানের প্রকৃত স্বাদ বলতে আমরা কি বুঝি? ঈমান একটি মহা মূল্যবান বস্তু। দুনিয়ার সব কিছুর চাইতে ঈমানের মূল্য অনেক বেশি। একজন প্রকৃত মুমিন সে তার জীবনের সব কিছুকে ত্যাগ করতে রাজি, কিন্তু ঈমান থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হতে সে…
ফতোয়াসমূহ (১৬)
‘জুমু‘আর দিন ৮০ বার দুরূদ পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীস কি বিশুদ্ধ?
প্রশ্ন: একটি হাদীস সম্পর্কে আমার জিজ্ঞাসা, তা হল আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জুমু‘আর দিন আসরের সালাতের পর জায়গা থেকে উঠার পূর্বে যে ব্যক্তি ৮০ বার নিম্ন বর্ণিত দুরূদটি পড়বে, আল্লাহ তা‘আলা তার ৮০ বছরের গুনাহ মাপ…
শাবান মাসের শেষার্ধে রোযা রাখার বিধান
প্রশ্ন: শাবান মাসের পনের তারিখের পর নফল সাওম পালনের বিধান কী? আমি শুনেছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবানের পনের তারিখ অতিবাহিত হওয়ার পর নফল সাওম থেকে নিষেধ করেছেন। উত্তর: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,…
মদিনায় গমনকারীদের মারফতে রাসূল ﷺ-এর জন্য সালাম পাঠানোর বিধান
প্রশ্ন: হাজীদের যারা মদিনায় গমন করেন তাদের মারফতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য সালাম প্রেরণের বিধান কী? উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ। এ কাজটি শরী‘আতসম্মত নয়। এ ধরণের আমলের প্রচলন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ছিল না এবং মুসলিম আলেমরা এ ধরনের কোনো…
কাজের কষ্টে রমযানের রোজা ছাড়ার অনুমতি আছে কি?
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি চাষাবাদ করে এবং রমযান মাসে তার ক্ষেতের ফসল কাটার সময় হয়, এখন সাওম রেখে যদি তার কাজ করা সম্ভব না হয়, তাহলে তার জন্য সাওমের বিধান রহিত হবে কিনা? উত্তর: রমযানের সাওম ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকন। সকল মুসলিমর…
সহকর্মী বা চেনা-পরিচিত অমুসলিমকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত না দিলে কি মুসলিমগণ অপরাধি হবে?
প্রশ্ন: পিস টিভি চ্যানেলের একাধিক বক্তা ও দা‘ঈ আমাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেসব অমুসলিমের সাথে তুমি উঠাবসা কর এবং যাদেরকে তুমি চেন, তাদেরকে যদি তুমি ইসলামের দিকে দাওয়াত না দাও, তারা কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে তোমার বিপক্ষে অভিযোগ করবে যে, তুমি…
কাফির কি দীন শিক্ষার জন্য মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে?
প্রশ্ন: কোনো আলোচনা কিংবা তা‘লীম শোনার উদ্দেশ্যে কাফিরের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা জায়েয আছে কিনা? উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ। হ্যাঁ, এটি জায়েয আছে। তবে শর্ত হলো, কাফিরটি দ্বারা মসজিদ নাপাক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকা। কারণ, কাফিরটির মসজিদে প্রবেশ করা তার ভালোর…
ই‘তিকাফের বিধান ও কতিপয় শর্ত
প্রশ্ন: ই‘তিকাফের শর্তসমূহ কী কী? সাওম কি ই‘তিকাফের অন্তর্ভুক্ত? ই‘তিকাফ অবস্থায় কোনো অসুস্থ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করা অথবা কারো আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া কিংবা তার পরিবারের প্রয়োজন সম্পাদন করা বা কারো জানাযায় শরিক হওয়া অথবা অন্য কোনো কাজে যাওয়ার বিধান কী?…
ইচ্ছাকৃত সাওম ভেঙ্গে ফেললে কাফফারা কী?
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি রমযান মাসে শর‘ঈ কোনো ওযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃত সাওম ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার কাফফারা কী? উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সহবাসের মাধ্যমে সাওম ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার ওপর তাওবাসহ কাযা ও কাফফারা আবশ্যক। আর কাফফারা হচ্ছে: কোনো মুমিন…
আশুরা দিবসে ভালো খাবার আয়োজনের বিধান
প্রশ্ন: অনেক আলেম ও বক্তাদের মুখে আশুরার দিন ভালো খাবার পরিবেশন করার কথা শোনা যায়—এ সম্পর্কে শরীয়তের বিধান কী? উত্তর: আশুরার দিন উত্তম খাওয়া পরিবেশন সম্পর্কে সহীহ বা বিশদ্ধ কোনো বর্ণনা পাওয়া যায়নি। তবে একটি হাদীস আমাদের দেশে অনেক বক্তার…
আশুরার সাওমের হুকুম
প্রশ্ন: মহররমের ১০ তারিখে সাওম রাখার ফযীলত ও এর বিধান কী? উত্তর: মুহাররম মাস হিজরী সনের প্রথম মাস; কিন্তু মুহাররম মাস শুধু প্রথম মাস হিসেবেই তাৎপর্যপূর্ণ তা নয়; বরং এ মাসের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ইসলামী ইতিহাসের অসংখ্য ঘটনাবলী এবং সংঘটিত…
নারীদের পক্ষে মাহরাম ছাড়া শুধু মেয়েদের সাথে হজ করার বিধান
প্রশ্ন: আমি সৌদি আরব বসবাস করি। সেখানেই আমার কর্মস্থল। গত বছর আমি আমার দুই বান্ধবীর সাথে হজ পালন করতে যাই, আমাদের সাথে কোনো মাহরাম ছিল না। এ বিষয়ে শরীয়তের বিধান সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ, শাইখ মুহাম্মাদ ইবন আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ…
জুমু‘আর দিন আশি বার দুরূদ পড়লে আশি বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে—মর্মে বর্ণিত হাদীস কি সহীহ?
প্রশ্ন: একটি হাদীস সম্পর্কে আমার জিজ্ঞাসা, তা হলো আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জুমু‘আর দিন আসরের সালাতের পর জায়গা থেকে উঠার পূর্বে যে ব্যক্তি আশি বার নিম্নোক্ত দুরূদটি পড়বে, আল্লাহ তার আশি বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন…