ইমামকে অপছন্দ করার কারণে অন্য মসজিদে গিয়ে সালাত আদায়ের বিধান
প্রশ্ন: আমি পশ্চিমা এক দেশে বাস করি। আমার অনেক ভাই মসজিদের ইমাম সাহেবকে অপছন্দ করেন। কারণ, সে মানুষকে গালমন্দ করে ও দীর্ঘ খুৎবা পাঠ করে। এ মুহূর্তে আমরা কী করব? এ ইমামের পিছনে সালাত আদায় করব, নাকি তুর্কিদের মসজিদে চলে যাব। এখানে এ দু’টি মসজিদ ব্যতীত তৃতীয় কোনো মসজিদ নেই। উত্তর দিয়ে আমাদের বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিন।
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ।
ইমাম সাহেব যেহেতু মানুষকে গালমন্দ করেন এবং দীর্ঘ খুৎবা পাঠ করার দরুন যেহেতু মানুষের কষ্ট হয়, তাই অন্য মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করলে কোনো অসুবিধা নেই; বরং কোনো কারণ ছাড়াই যেকোনো মসজিদে সালাত আদায় করা যায়। তবে মহল্লার মসজিদে সালাত আদায় করা উত্তম। হ্যাঁ, তুর্কিদের মসজিদে যদি কোনো বিদ‘আত ও কুসংস্কার থাকে, যা আপনি উল্লেখ করেননি এবং যে কারণে সেখানে যেতে আপনাদের কষ্ট হয়, তবে তা খুলে বলা প্রয়োজন।
আরো প্রয়োজন ইমাম সাহেবকে উপদেশ দেওয়া। মুসলিমদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখা ও খুৎবা সংক্ষেপ করার জন্য তাকে আহ্বান করা।
শাইখ ইবন উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল: খতীব সাহেব খুব বেশি জানেন এবং খুব সুন্দর করে খুৎবা উপস্থাপন করতে পারেন, এজন্য নিজ মহল্লাহর মসজিদ ত্যাগ করে দূরে অবস্থিত মসজিদে গিয়ে কি সালাত আদায় করা বৈধ?
তিনি উত্তর দিয়েছেন: পরস্পরের মাঝে পরিচিতি অর্জন ও মহব্বত সৃষ্টির লক্ষ্যে মহল্লার মসজিদে সালাত আদায় করাই উত্তম। তবে দীনি ফায়দার জন্য দূরের মসজিদে গমন করলে কোনো সমস্যা নেই। যেমন, ইলম অর্জন করা, অধিক প্রতিক্রিয়াশীল ও জ্ঞানগর্ব খুৎবা শ্রবণ করা ইত্যাদি। সাহাবায়ে কেরাম ইমাম ও মসজিদের ফযীলত অর্জন করার জন্য রাসূলের পিছনে সালাত আদায় করতেন, অতঃপর নিজ মহল্লায় চলে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সালাত আদায় করতেন। রাসূলের যুগে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু এরূপ করতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জানতেন, তবুও তিনি তাকে বারণ করেননি।
সমাপ্ত
সূত্র: ইসলাম কিউ এ