
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী প্রবর্তন ও প্রবর্তক: একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা
‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ মুসলিম বিশ্বের বহু স্থানে পালনকৃত একটি উৎসব, যা রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম স্মরণে উদযাপিত হয়। তবে ইতিহাসে প্রথম যুগে সাহাবী, তাবেয়ী কিংবা তাবে-তাবেয়ীদের মধ্যে এ উদযাপনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মীলাদ উদযাপনের সূচনা ঘটে মূলত শিয়া ফাতেমী শাসকদের আমলে মিশরে (চতুর্থ হিজরী শতকে)। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিনসহ আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমার জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতো। পরবর্তীতে হিজরী ষষ্ঠ শতকের শেষ দিকে ইরাকের ইরবিলের শাসক আবু সাঈদ কুকবূরী সুন্নী সমাজে এ উৎসব প্রচলন করেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয় করে তোলেন।
ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, এই উদযাপন সামাজিক-রাজনৈতিক পটভূমির সাথে সম্পর্কিত ছিল। ইসলামী সাম্রাজ্যে ক্রুসেড ও তাতার আক্রমণ, অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা, এবং সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে নতুন নতুন প্রথা প্রচলিত হয়, তন্মধ্যে মীলাদ অন্যতম।
এ বইটিতে মীলাদের অর্থ, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন সম্পর্কিত মতভেদ, ইসলামের প্রাথমিক যুগে মীলাদ না থাকার ঐতিহাসিক সাক্ষ্য, এবং পরবর্তী সময়ে এর প্রবর্তন ও প্রসারের বিস্তারিত ঐতিহাসিক পর্যালোচনা করা হয়েছে।