সূরা: [১৩] আর-রা‘দ | Ar-Ra‘d | سورة الرعد

মানুষের জন্য রয়েছে তার সামনে ও পিছনে একের পর এক আগমনকারী প্রহরী; তারা আল্লাহ্‌র আদেশে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে^(১)। নিশ্চয় আল্লাহ্ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে^(২)। আর কোনো সম্প্রদায়ের জন্য যদি আল্লাহ্ অশুভ কিছু ইচ্ছে করেন তবে তা রদ হওয়ার নয়^(৩) এবং তিনি ছাড়া তাদের কোনো অভিভাবক নেই।— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

তিনিই তোমাদেরকে দেখান বিজলী, ভয় ও আশা-আকাংখারূপে এবং তিনিই সৃষ্টি করেন ভারী মেঘ^(১)— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আর রা’দ তাঁর সপ্রশংস মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে^(১) এবং ফেরেশতাগণও তা-ই করে তাঁর ভয়ে। আর তিনি গর্জনকারী বজ্র পাঠান অতঃপর যাকে ইচ্ছে তা দ্বারা আঘাত করেন^(২) এবং তারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে, আর তিনি শক্তিতে প্রবল শাস্তিতে কঠোর^(৩)।— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

সত্যের আহ্বান তাঁরই। যারা তাঁকে ছাড়া অন্যকে আহ্বান করে, তারা তাদেরকে কোনো কিছুতেই সাড়া দেয় না^(১); তাদের দৃষ্টান্ত সে ব্যক্তির মত, যে তার মুখে পানি পৌঁছবে এ আশায় তার দুহাত মেলে ধরে পানির দিকে, অথচ তা তার মুখে পৌঁছার নয়, আর কাফিরদের আহ্বান তো কেবল ভ্রষ্টতায় নিপতিত^(২)।— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আর আল্লাহ্‌র প্রতিই সিজদাবনত হয় আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায়^(১) এবং তাদের ছায়াগুলোও সকাল ও সন্ধ্যায়^(২)।— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

বলুন, ‘কে আসমানসমূহ ও যমীনের রব?’ বলুন, ‘আল্লাহ্‌।’^(১) বলুন, ‘তবে কি তোমরা অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছ আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে যারা নিজেদের লাভ বা ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়?’ বলুন, ‘অন্ধ^(২) ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? নাকি অন্ধকার ও আলো^(৩) সমান হতে পারে?’ তবে কি তারা আল্লাহ্‌র এমন শরীক সৃষ্টি করেছে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে, যে কারণে সৃষ্টি তাদের কাছে সদৃশ মনে হয়েছে^(৪)? বলুন, ‘আল্লাহ্ সকল বস্তুর স্রষ্টা^(৫); আর তিনি এক, মহা প্রতাপশালী^(৬)।’— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

তিনি আকাশ হতে বৃষ্টিপাত করেন, ফলে উপত্যকাসমূহ তাদের পরিমাণ অনুযায়ী প্লাবিত হয় এবং প্লাবন তার উপরের আবর্জনা বহন করে। এরূপে আবর্জনা উপরিভাগে আসে যখন অলংকার বা তৈজসপত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে কিছু আগুনে উত্তপ্ত করা হয়^(১)। এভাবে আল্লাহ্‌ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকেন। যা আবর্জনা তা ফেলে দেয়া হয় এবং যা মানুষের উপকারে আসে তা জমিতে থেকে যায়। এভাবে আল্লাহ্ উপমা দিয়ে থাকেন^(২)।— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

যারা তাদের রবের ডাকে সাড়া দেয়, তাদের জন্য রয়েছে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান। আর যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয় না, যমীনে যা কিছু আছে তার সবটুকুই যদি তারা মালিক হতো এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরো কিছুও হতো তাহলেও তারা মুক্তিপণস্বরূপ তা দিত^(১)। তাদেরই হিসেব হবে কঠোর^(২) এবং জাহান্নাম হবে তাদের আবাস, আর সেটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আপনার রব হতে আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা যে ব্যক্তি সত্য বলে জানে সে কি তার মত যে অন্ধ^(১)? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেকসম্পন্নগণই^(২)— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

যারা^(১) আল্লাহ্‌র সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করে এবং প্রতিজ্ঞা ভংগ করে না— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া