সূরা: [২৭] আন-নামল | An-Naml | سورة النمل

‘তবে যে যুলুম করে,^(১) তারপর তারপর মন্দ কাজের পরিবর্তে সৎকাজ করে, তাহলে নিশ্চয় আমি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

‘আর আপনি আপনার হাত আপনার বগলে রাখুন, এটা বের হয়ে আসবে শুভ্র নির্দোষ অবস্থায়। এটা ফির‘আউন ও তার সম্প্রদায়ের কাছে আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্তৰ্গত^(১)। তারা তো ছিল ফাসেক সম্প্রদায়।’— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

অতঃপর যখন তাদের কাছে আমাদের নিদর্শনসমূহ দৃশ্যমান হল, তারা বলল, ‘এটা সুস্পষ্ট জাদু।’— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আর তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলো প্রত্যাখ্যান করল, যদিও তাদের অন্তর এগুলোকে নিশ্চিত সত্য বলে গ্ৰহণ করেছিল^(১)। সুতরাং দেখুন, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আর অবশ্যই আমরা দাউদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম^(১) এবং তারা উভয়ে বলেছিলেন, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র যিনি আমাদেরকে তাঁর বহু মুমিন বান্দাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন^(২)।’— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আর সুলাইমান হয়েছিলেন দাউদের উত্তরাধিকারী^(১) এবং তিনি বলেছিলেন, ‘হে মানুষ! আমাদেরকে^(২) পাখিদের ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়েছে এবং আমাদেরকে সবকিছু দেয়া হয়েছে^(৩), এটা অবশ্যই সুস্পষ্ট অনুগ্রহ।’— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আর সুলাইমানের সামনে সমবেত করা হল তার বাহিনীকে---জিন, মানুষ ও বিহঙ্গকুলকে এবং তাদেরকে বিন্যস্ত করা হল বিভিন্ন ব্যূহে^(১)।— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

অবশেষে যখন তারা পিপড়া অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘হে পিপড়া-বাহিনী! তোমরা তোমাদের ঘরে প্রবেশ কর, যেন সুলাইমান এবং তার বাহিনী তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পায়ের নীচে পিষে না ফেলে।’— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

অতঃপর সুলাইমান তার এ কথাতে মৃদু হাসলেন এবং বললেন, ‘হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন^(১) যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি এমন সৎকাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন^(২)। আর আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল করুন^(৩)।’— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আর সুলাইমান পাখিদের সন্ধান নিলেন^(১) এবং বললেন, ‘আমার কি হলো^(২) যে, আমি হুদহুদকে দেখছি না! না কি সে অনুপস্থিত— ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া